মাদরাসার ইতিহাস

 উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও জেলার বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মোজাম্মেল হক মাদানী এহইয়াযুততুরাস এর দায়িত্বশীল হিসেবে অনেক মাসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজ এলাকায় একটি মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে ডেবাডাঙ্গী বড় জামে মাসজিদের সভায় উপস্থিত হন এবং আশে পাশে জায়গা পাওয়া গেলে মাদরাসা করা যেতে পারে বলে আশ্বাস দেন। কোন এক সন্ধ্যায় আজিজুর রহমান গোয়াল পাড়ার আঃ সুবহান এর সাথে আলাপচারিতায় লিপ্ত হন। গল্পের নানা ফাঁকে উঠে আসে মাদরাসার জন্য জায়গার কথা। তৎক্ষনাৎ আঃ সুবহান দ্বীনি কাজে আগ্রহী আসিরুদ্দীন মুন্সির শরানাপন্ন হন। সেখানে শলা পরামর্শ করে সাথে নেন ইয়াদুর রহমান মাস্টারকে। ৩জনে সোমবার দিন ঠিক করে সাক্ষাৎ করেন মোজাম্মেল হক মাদানীর সাথে। তাঁরা তাকে জায়গার ব্যাপারে কিছুটা আসস্থ্যকরলে এর কয়েক দিন পরেই ডেবাডাঙ্গী স্কুল মাঠে একটি মিটিং এর আহ্বান করেন এবং তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে তৎকালীন একাউন্টেড মরহুম আব্দুর রহীম সাহেবকে সভাপতি, ইয়াসিন আলী সরদারকে সেক্রেটারীর দায়িত্ব অর্পন করেন বাকিদের সদস্য পদ দেন। সদস্য পদে ছিলেন, ( আব্দুস সুবহান, আসিরুদ্দীন মুন্সি, ইয়াদুর মাস্টার, আনিসুর মাহালিয়া) এবং নামকরণ করেন মাদরাসাতুল হুদা। মিটিং শেষে মোজাম্মেল হক চেক তৈরীর দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে চেকের মাধ্যমে আঃ সুবহান ও ইয়াদুর রহমান মাস্টার ৩০,০০০ টাকা কালেকশন করেন। সেই টাকা দিয়েই সর্বপ্রথম ৭০,০০০ টাকা দরে জমির বায়না করা হয়। এভাবেই বিশাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাটি হাটি পা পা করে চলছিল দ্বীনদরদী এই মানুষগুলির পদচারণা। এই মহৎ উদ্দেগ্য সামনে রেখে ডেবাডাঙ্গী স্কুল মাঠে মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিল একজন অ্যারাবিয়ান শায়খ তরজমা করছিলেন আকরামুজ্জামান বিন আঃ সালাম। আকরামুজ্জামানকেও জানানো হয় গ্রামবাসীর আকাশচুম্বী স্বপ্নের কথা। (উল্লেখ্য যে আকরামুজ্জামান এহইয়াযুততুরাস  অফিসে কর্মরত ছিলেন) আর এহইয়াযুততুরাস এর দায়িত্বে ছিলেন একজন সুদানি শায়খ। অফিসে মাদরাসা মাসজিদের কাজে আসলে এখানকার কথা জানান আকরামুজ্জামান বিন আঃ সালাম। কিন্তু তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। এদিকে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ঠাকুরগাঁও জেলার কৃতি সন্তান ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী মিরপুর দারুস সুন্নাহ মাদরাসার অধ্যক্ষের দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। মাদরাসার কাজে তুরাস অফিসে যান। সেখানে আকরামুজ্জামান তাকে সুদানি শায়খকে নিজ এলাকার প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে বলেন। আবেদন করলে সুদানি শায়খ গ্রহণ করেন। এবং জমির দলিল তলফ করেন। তখন শহীদুল্লাহ খান তার বড় ভাই ফজলে কাদের খানকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি তখন কমিটিদের বিষয়টি জানান। কমিটি দলিল নিয়ে মোজ্জাম্মেল হক মাদানীকে দেন। তিনি সেই কাগজগুলো ঢাকা অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দেন। বাজেটে পাশ হলে মনোয়ার নামক ইঞ্জিনিয়ার সরজমিনে পরিদর্শন করেন এবং তার তত্বাবধানে চাপাই নবাবগঞ্জের আঃ সামাদ মিস্ত্রির মাধ্যমে ২০০২ সালের শুভক্ষণে মোজাম্মেল হক মাদানীর উদ্ভোধনে মাসজিদের কাজ শুরু হয়। এরপর চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন একটি অযুখানা একটি লাশ ধোয়া ঘর ও ৩টি দোকান ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানটি দ্বীনের দায়ী তৈরি করতে পথ চলা শুরু করে।