আমাদের পরিকল্পনা

অত্র প্রতিষ্ঠানটি দেশের উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী হাইরোড সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুরে অবস্থিত। উত্তরবঙ্গে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে কোন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সালাফী মানহাজের সন্তানরাও সঠিক আক্বীদা ও দ্বীনি জ্ঞান অর্জনে বঞ্চিত হয়ে বাতিল আক্বীদায় প্রভাবিত হওয়ায় অত্র এলাকার কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আল্লাহর রহমতে ২০০২ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রস্থর করা হয়। কিন্তু দক্ষ পরিচালনা, আর্থিক অনটনের কারণে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মাদরাসা উন্নয়ে মূলক কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। অত:পর ২০০৭ সালের দিকে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এর সেক্রেটারী জেনারেল ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট হন এবং প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করলে তার সুচিন্তিত মতামত ও জ্ঞানগর্ভ দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের গতি সঞ্চারিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে প্রয়োজনুসারে যথার্থ আবাসন ও শিক্ষা উপকরণ না থাকায় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। তাই উক্ত প্রয়োজন পূরণ করে সুষ্ঠ পাঠদান ও আবাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা প্রয়োজন তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

১। স্বতন্ত্র আবাসিক বালিকা শাখা প্রতিষ্ঠা।

২। মাদরাসা মাসজিদ প্রতিষ্ঠা।

৩। এতিম ও অতি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ব্যয়ভার পরিচালনায় মাসিক অনুদান।


১। স্বতন্ত্র বালিকা শাখা প্রতিষ্ঠাঃ বর্তমানে বালক শাখার এক কর্ণারে বালিকা শাখা পরিচালিত হচ্ছে। জায়গা অতি সংকীর্ণ হওয়ায় আগামী বছর শ্রেণি বৃদ্ধি করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে সহীহ আক্বীদার কোন আবাসিক বালিকা প্রতিষ্ঠান না থাকায় মেয়েরা বিশুদ্ধ আক্বীদা ও দ্বীনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদিও বিশুদ্ধ আক্বীদার পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে নারীর ভূমিকা অপরিসীম। তাই ২ বছর পূর্বেই মাদরাসা কমিটি স্বতন্ত্র আবাসিক বালিকা শাখা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু অর্থাভাবে এখনো তা বাস্তবায়ন সম্ভবপর হয়নি।

২। মাদরাসা মাসজিদ প্রতিষ্ঠাঃ প্রতিষ্ঠানের সূচনালগ্নে এক মুসলিম ভাইয়ের আর্থিক অনুদান ১৫০ জন মুসল্লীর সলাত আদায়ের জন্য একটি মাসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। অত:পর ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে প্রথমবার বাঁশ টিন অত:পর এ্যাংগেল ও টিনের চালা তৈরি করে প্রায় আটশত জন মানুষ প্রচন্ড শীত ও গরমে অতি কষ্টে সলাত আদায় করেন। আল্লাহ চাহে আগামী বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই কষ্টকর জায়গাতে সলাত আদায় এর জায়গা সংকুলান হবে না। তাই ছাত্র সংখ্যা ক্রমবর্ধমান ও প্রতিষ্ঠানে একটি বড় ও বহুতল বিশিষ্ট মাসজিদের খুবই প্রয়োজন।

৩। এতিম ও অতি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাসিক অনুদান ব্যবস্থাঃ এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী অতি দরিদ্র হওয়ায় তাদের দ্বারা বোডিং ফি প্রদানও অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এ উর্ধগতির বাজারে খাদ্য, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন ভাতা প্রদান প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ বৃহৎ অঙ্কের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দ্বীনি শিক্ষার পথকে সুগম করার লক্ষে মাসিক অনুদানের প্রয়োজন।

অতএবঃ উপরোক্ত প্রয়োজন  পূরণে সাধ্যনুযায়ী সহযোগীতা দিয়ে এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে প্রত্যেক সামর্থ্যবান,সুরীদ মুসলমানের নিকট আমাদের আকুল আবেদন।