যাবতীয় বিষয়
মাদরাসার পোশাক কীরকম হয়?
- ক. ছাত্রদের জন্য হালকা আকাশী রঙের পায়জামা পাঞ্জাবী, সাদা সূতার টুপি ও ক্যাটস।
- খ. শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য সাদ্দা সালোয়ার, স্কার্ফ, কমরের বেল্ট ও হাল্কা আকাশী রঙের কামিজ এবং তৃতীয় ও তদুর্ধ্ব শ্রেণির ছাত্রীর জন্য কালো রঙের স্টেপ বোরকা।
কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়?
শিক্ষাবর্ষকে দুই সেমিষ্টারে বিভক্ত করে পাঠদান করা হয় এবং পরীক্ষা নেয়া হয়।
- শিশু থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন অন্তর এবং ৪র্থ ও তদুর্ধ্ব শ্রেনির জন্য ১ মাস অন্তর শ্রেণি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
- বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে ১ম সেমিস্টারের সিলেবাস থেকে ২০নম্বরের প্রশ্ন এবং বাকি প্রশ্ন ২য় সেমিস্টারের সিলেবাস থেকে তৈরী করা হয়।
ফলাফল তৈরী পদ্ধতি
বার্ষিক ফলাফল তৈরীতে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৩০% এবং বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৭০% নম্বরের সমন্বয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরী করা হয়।
পইন্ট টেবিলঃ
নম্বরের ব্যবধান | লেটার গ্রেড | পয়েন্ট |
৯০-১০০ | এ+ | ৫ |
৯০-৮৯ | এ | ৪ |
৭০-৭৯ | এ- | ৩.৫ |
৬০-৬৯ | বি | ৩ |
৫০-৫৯ | সি | ২ |
৫০-৪৯ | ডি | ১ |
০-৩৯ | এফ | ০ |
পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের করণীয়
- পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিটি পূর্বে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে হবে ।
- মাদরাসার পোশাক পরিধান করে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে হবে।
- প্রবেশ পত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না ।
- জ্যামিতি বক্র, হার্ডবোর্ড, কলম, পেন্সিল ও পরীক্ষার জন্য আবশ্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়া অন্য কোন কিছু সাথে নেওয়া যাবে না।
- পরীক্ষা চলা কালীন সময়ে অন্য ছাত্রের সাথে কথা বলা বা অন্যের দেখে লিখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ প্রথম বার এমন করলে ১৫ মিনিটের জন্য খাতা আটকে রাখা হবে, ২য় বার এমন করলে ২০ মিনিটি ও ৩য় বার করলে খাতা দেওয়া হবে না।
- পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন করলে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে
- পরীক্ষার শেষ হওয়া ১৫ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত অতিরিক্ত উত্তর পত্র নেওয়া যাবে ।
- বহুনির্বাচনী পরীক্ষার উত্তর পত্র আলাদা দেওয়া হবে।
- নৈবিত্তিক অংশ প্রথমে দেওয়া হবে ও নির্ধারিত সময়ে জমা নেওয়া হবে।
- নির্দিষ্ট ঘন্টা অনুযায়ী খাতা জমা নেওয়া হবে ।
- পরীক্ষার সময় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মাদরাসা কর্তৃক বাজানো বেল চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
- পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষকের সাথে বেআদবী করলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
- পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অতিরিক্ত উত্তর পত্র ইত্যাদির প্রয়োজন হলে নিজ জায়গা থেকে হাত তুলে ইশারার মাধ্যমে নিতে হবে ।
- পরীক্ষার সময় উচ্চস্বরে কথা বলা বা হাসাহাসি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- শুধু মাত্র ৭ম শ্রেণির উপরের ছাত্ররা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
এখান থেকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কী কোন সুযোগ আছে?
আলহামদুলিল্লাহ, সুযোগ আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা, সাউদি আরব এর সাথে মুয়াদালা (নিবন্ধন) কৃত প্রতিষ্ঠান।
মাদরাসার বিশেষত্ব গুলো কী কী?
- হাইরোড সংলগ্ন সবুজ, শ্যামল উন্মুক্ত ও মনোরম পরিবেশে মাদরাসাটি অবস্থিত।
- কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে বিশুদ্ধ আকীদাহ ভিত্তিক নতুন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা।
- ছাত্রদের মেধার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত উন্নত পাঠ্য সূচীর ভিত্তিতে পাঠ দান।
- ছাত্রদের মেধার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত উন্নত পাঠ্য সূচীর ভিত্তিতে পাঠ দান।
- সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্লাশ গ্রহণ এবং আরবী, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত লিখা-পড়া ও কথোপকথনে বিশেষ গুরুত্বারোপ।
- ছাত্রদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবসর সময়ে ব্যক্তিগত অধ্যয়নের জন্য পাঠাগার ও কম্পিউটার শিক্ষার সু-ব্যবস্থা।
- ছাত্রদের প্রতিভা বিকাশ ও বাহ্যিক যোগ্যতা অর্জনে নিয়মিত সাপ্তাহিক ইসলামী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা।
- উচ্চ ডিগ্রীধারি যোগ্য, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক শিক্ষক মন্ডলীর দ্বারা পাঠদান।
- শ্রেনিতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ছাত্রকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান।
- শিক্ষক মন্ডলীর সার্বক্ষনিক উপস্থিতিতে আবাসিক ছাত্রদের সার্বিক তত্বাবধায়নের ব্যবস্থা।
- সি সি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিঠানের সার্বিক বিষয় তত্বাবধানের ব্যবস্থা।
- মাদরাসার প্রাত্যহিক রুটিনের ভিত্তিতে দৈনিক ২৪ ঘন্টা কাজে লাগিয়ে উপকার সাধনের সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা, সাউদি আরব এর সাথে মুয়াদালা (নিবন্ধন) কৃত প্রতিষ্ঠান।
- নিজস্ব সফটওয়্যার এর মাধ্যেমে শিক্ষার্থীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় গুলোও পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
- আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে এখন অনলাইন বা মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসেই সকল ফী পরিশোধ করা যায়।
ফি সমূহ কখন ও কীভাবে প্রদান করব?
প্রতি মাসের ১-১০ তারিখের মধ্যে বেতন ও অন্যান্য ফি সমূহ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বা সরাসরি এসে পরিশোধ করতে হবে।
ক্লাসের সময়সূচী
হিফয বিভাগ :
- ফজরের আযানের ১ ঘণ্টা পূর্ব হতে আযান পর্যন্ত।
- বাদ ফজর হতে সকালের নাস্তা পর্যন্ত।
- সকাল ৮টা হতে সকাল ৯:৩০টা পর্যন্ত।
- এরপর গোসল ও বিশ্রাম (ঘুম) দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
- দুপুর ১২ টা থেকে যোহরের ছালাতের পূর্ব পর্যন্ত আমুখতা ক্লাস।
- দুপুরের খাওয়ার পর হতে আছরের পূর্ব পর্যন্ত আমুখতা ক্লাস।
- আছরের পর হতে খেলাধূলার সময়ের পূর্ব পর্যন্ত অডিও-ভিডিও ক্লাস।
- মাগরিবের পর হতে এশা পর্যন্ত ক্লাস (সবক)।
- রাতের খাওয়ার পর ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া।
কিতাব বিভাগ ও আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স:
- সকাল ৮টা হতে দুপুর ১২:৩০টা পর্যন্ত।
- অতিরিক্ত ক্লাস (ছোটদের কুরআন ও তাজভীদ শিক্ষা এবং বড়দের ইংরেজি ও আরবী কথোপকথন) বাদ আছর হতে খেলাধূলার সময়ের/মাগরিব আযানের ৪৫ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত।
আবাসিক ছাত্রদের কী কী ব্যবহার সামগ্রী প্রয়োজন?
দুই সেট মাদরাসার পোশাক দুইটি লুঙ্গি একটি তোয়ালে, গ্লাস, প্লেট, জগ/মগ একটি ২৬ ইঞ্চি ট্রাংক, একটি তোষক, বিছানার চাদর, শীতবস্ত্র, শিক্ষা সামগ্রী, এছাড়াও একজন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র।
পরিবহন ব্যবস্থা আছে কী?
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য মাদরাসার নিজস্ব পারিবহন ব্যবস্থা রয়েছে।
অনাবাসিক সুবিধা
ডায়েরী ব্যবহারঃ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান অভিভাবককে অবহিত করার লক্ষ্যে ডায়েরীতে ছাত্রদের অবস্থা বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন করা হয়। এছড়াও আমাদের নিজস্ব সফটওয়ারে কোন শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য জানার সু ব্যবস্থা রয়েছে।
ফোন যোগাযোগঃ জরুরী বিষয় অবহিত করতে তাৎক্ষণিক অথবা অসচেতন অভিভাবককে ছাত্রদের অবস্থা জানাতে মাসে একবার ফোনে যোগাযোগ করা হয়।
কীভাবে সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ করব?
- প্রতিমাসের ১ম ও ৩য় শুক্রবার সকাল ৮ঃ০০-১১ঃ০০ এবং ২ঃ০০-৫ঃ০০টা পর্যন্ত ছাত্রদের সাথে সাক্ষাৎকার করা যাবে।
- রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার আসরের পর ০১৩১০১৪৩৫৫৫ / ০১৩১৯১৮৭৬৩৭ / ০১৩১৯১৮৭৬৩৪ / ০১৩১১৬৯০৪৮৬ নম্বরে ফোন দিয়ে ছাত্রের সাথে ২-৩ মিনিট কথা বলা যাবে। এছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে অধ্যক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অভিভাবকগণ হস্টেল সুপারের ফনের মাধ্যেমে জরুরী বার্তা আদান-প্রদান করতে পারবেন।
ছুটির নিয়মাবলি
- আবাসিক শিক্ষার্থী নুন্যতম একমাস অন্তর আবেদন পত্রের মাধ্যমে বাড়ি যাওয়ার ছুটি নিতে পারবে। তবে বিশেষ কারণ, যেমন পারিবারিক দুর্ঘটনা বা মৃত্যু জনিত কারণে ছুটি বিবেচনাধীন থাকবে।
- অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ছুটির প্রয়োজন হলে লিখিত আবেদনের মাধ্যেমে ছুটি নিতে হবে। বাড়িতে থাকা অবস্থায় অসুস্থতা, হঠাৎ সফর বা অন্যকোন প্রয়োজনে ছুটির দরকার হলে ফোনে শ্রেণি শিক্ষককে জানাতে হবে। অতঃপর মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েই শ্রেণি শিক্ষককে জানাতে হবে। অতঃপর মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েই শ্রেণি শিক্ষককের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন পত্র অফিসে পেশ করতে হবে।