দান করুন

  

                           


              


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন!আমরা মুসলিম হিসেবে সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস করি যে, উভয়কালীন সুখ, শান্তি ও সফলতা লাভের একমাত্র পথ কুরআন ও সহীহ সূন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসরণ। কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সাঃ) থেকে সময়ের দূরত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন বাতিল ফিরকা ও ফিৎনার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি যোগ্য দ্বীনি আলেমের অপ্রতুলতার কারণে, বাতিল পন্থিদের কুরআন-সুন্নাহর অপব্যাখ্যা ও গলাবাজির কাছে সরলমনা সাধারণ মুসলমানগণ প্রতারিত ও পথভ্রষ্ট হচ্ছে। তাই আজ কুরআন, সুন্নাহ ও বিশুদ্ধ আকীদায় দক্ষ ও হক্কানী আলেমের বড়ই প্রয়োজন। যারা নির্ভেজাল দ্বীনি জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে হিদায়াতের পথ দেখাবেন। এ প্রয়োজন পূরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আল্লাহর ইচ্ছায় কিছু একনিষ্ঠ মুসলিম ভাইয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আপনাদের আন্তরিক সহযোগীতায় ঠাকুরগাঁও জেলায় গড়ে ওঠে কুরআন, সহীহ সূন্নাহ ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় আলোকিত মানুষ তৈরির ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান, মাদরাসাতুল হুদা আল-ইসলামিয়্যাহ আস-সালাফিয়্যাহ। যা দক্ষ নিষ্ঠাবান শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষানুরাগী অভিজ্ঞ পরিচালনা কমিটির নিরলস প্রচেষ্টায় অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে নূরানী, হিফয, আরবী ভাষা শিক্ষা কোর্সের সাথে কিতাব বিভাগের বালিকা শাখা একাদশ এবং বালক শাখা কুল্লিয়্যাহ/দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। ফুল স্কলারশীপের মাধ্যমে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য সৌদি আরবের মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মু’আদালা (বিশেষ নিবন্ধন) সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মাদরাসাটি সবার কাছে আদর্শবান ও দক্ষ মানুষ তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় ঠাকুরগাঁও সহ পাশ^বর্তী জেলাগুলো থেকে এত অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আসে যে, আমাদের আসন স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। হে দ্বীনি ভাই ও বোন! ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এ দুনিয়াবী জীবনের সমাপ্তি ঘটবেই ঘটবে। অতঃপর শুরু হবে অনন্তকালের এক ভয়াবহ জীবন। সে জীবনে অবর্ণনীয় ভয়ংকর শাস্তি থেকে বেঁচে, অনাবিল সুখ লাভ করবে যারা বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে পরকালের জন্য সঞ্চয় করবে। আল্লাহ বলেন: ‘‘তোমরা ততক্ষণ পুণ্য লাভ করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় বস্তু আল্লাহর পথে ব্যয় করবে’’ (সূরা আল ইমরান: ৯২)। শুধু তাই নয় বরং প্রত্যেকের দান-সদকা হাশরের মাঠে অসহনীয় রোদের তাপ থেকে বাঁচার ছায়া হবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন: ‘‘কিয়ামাতের দিন মানুষের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তি তার সদকার ছায়াতলে অবস্থান করবে’’- (ইবনে হিব্বান ও হাকিম)। আমরা আল্লাহর জন্য যা ব্যয় করি, তাকে তিনি বিশেষ দয়ায় বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন, অত:পর বিনিময়ে মহামূল্যবান জান্নাত দিবেন। আল্লাহ বলেন: ‘‘নিশ্চয়ই দানশীল পুরুষ ও নারীগণ এবং যারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করে তাদের দেয়া হবে বহুগুণ বেশি এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার’’ (সূরা হাদীদ:১৮)। অতএব, সময়ের দাবি পূরণে এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অধিক সংখ্যক দ্বীনি আলেম তৈরির উদ্দেশ্যে অধিক শিক্ষার্থীকে ইল্ম অর্জনের সুযোগ করে দিতে আবাসিক ভবন বৃদ্ধি এবং ইয়াতীম ও নিঃস্বদের ফ্রি/হাফ-ফ্রিতে পড়ালেখার পথ সুগম করার মাধ্যমে উভয়কালীন শান্তি ও সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে আপনার এককালীন, মাসিক অনুদান, উশর, যাকাত, ফিৎরা, কুরবানীর চামড়ার টাকা ও সাধারণ দান মাদরাসায় দিয়ে সদকায়ে জারিয়ার অশেষ নেকী হাসিল করার আবেদন রইল।আপনার আর্থিক সহযোগিতা প্রেরণ ঠিকানা